অফিস রিপোর্টঃ জোর করে গৃহপরিচালিকাকে ধর্ষনের অভিযোগে র্যাবের হাতে ধর্ষনকারী গ্রেফতার হয়েছে।
র্যাব জানায়, র্যাব-৮, সিপিসি-১ (পটুয়াখালী ক্যাম্প) এর একটি বিশেষ আভিযানিক দল ভারপ্রাপ্ত কোম্পানী অধিনায়ক, অতিরিক্ত পুলিশ সুপার মোঃ রাজীব ফরহান এর নেতৃত্বে ৩০ এপ্রিল পটুয়াখালীর জেলার দশমিনা থানা এলাকায় অভিযান পরিচালনা করে। অভিযান পরিচালনাকালে গোপন সংবাদের ভিত্তিতে জানতে পারে যে, পটুয়াখালীর জেলার দশমিনা থানাধীন ¯øুলিজ বাজার এলাকায় ০১ (এক) জন ধর্ষনকারী আসামী অবস্থান করছে। প্রাপ্ত সংবাদের ভিত্তিতে র্যাবের আভিযানিক দল অতিরিক্ত পুলিশ সুপার মোঃ রাজীব ফরহান এর নেতৃত্বে উক্ত স্থানে উপস্থিত হলে র্যাবের উপস্থিতি টের পেয়ে দৌড়ে পালানোর চেষ্টাকালে র্যাব সদস্যরা ঘেরাও পূর্বক ১ জন ব্যক্তিকে গ্রেফতার করেন। গ্রেফতারকৃত আসামীকে জিজ্ঞাসাবাদে তার নাম মোঃ সাইফুল ইসলাম(৪৮)(ধর্ষণকারী), পিতা-মৃত চন্দন হাওলাদার, সাং-দক্ষিণ রনগোপালদী, ০৩নং ওয়ার্ড, থানা-দশমিনা, জেলা-পটুয়াখালী বলে জানায়। ঘটনার বিস্তারিত বিবরণে জানা যায় যে, গৃহপরিচালিকা ভিকটিম ছদ্ম নাম (মোসাঃ জেসমিন খাতুন(৫০)) ২৯্এপ্রিল সন্ধ্যায় তার বসত বাড়ীর দক্ষিন পাশের মৃধা পুড়ার বিলে চরানো গরুর বাছুর আনিতে যায়। কিন্ত গরুর বাছুরের কাছে পৌছার আগেই সন্ধ্যা আসামী মোঃ সাইফুল ইসলাম (৪৮), ঝাপটাইয়া ধরিয়া ভিকটিমের পড়নের শাড়ী কাপড়ের আচল দিয়ে মুখ চেপে ধরে জোরপূর্বক ধর্ষণ করে এবং উক্ত স্থান হতে পালিয়ে যায়। পরবর্তীতে ধর্ষনকারী কাউকে কিছু না বলার জন্য প্রাণ নাশের হুমকি দেয়। তদপ্রেক্ষিতে ছদ্ম নাম(মোসাঃ জেসমিন খাতুন(৫০))আইনগত সহায়তা চেয়ে র্যাব-৮, পটুয়াখালী ক্যাম্পের নিকট আবেদন করলে র্যাব-৮, সিপিসি-১, পটুয়াখালী ক্যাম্পের একটি বিশেষ আভিযানিক দল গোপন সংবাদের ভিত্তিতে অভিযান পরিচালনা করে অভিযুক্ত মোঃ সাইফুল ইসলাম(৪৮)কে আটক করে। প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে গ্রেফতারকৃত মোঃ সাইফুল ইসলাম(৪৮)(ধর্ষণকারী) ঘটনার সাথে নিজের সংশ্লিষ্টথাকার কথা স্বীকারোক্তি প্রদান করে। এ ব্যাপারে র্যাব সহযোগীতায় ঐ নারী ভিকটিম বাদী হয়ে পটুয়াখালীর দশমিনা থানায় একটি মামলা দায়ের করেন।
Leave a Reply