মাদারীপুর প্রতিনিধি
বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের সভাপতিমন্ডলীর সদস্য ও মাদারীপুর-২ আসনের সাংসদ শাজাহান খান সরকারের সিদ্ধান্ত মানেন না বলে মন্তব্য করেছেন জেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি শাহাবুদ্দিন আহমেদ মোল্লা। বৃহস্পতিবার দুপুরে রাজৈর উপজেলার খালিয়া শান্তি কেন্দ্রে অনুষ্ঠিত আওয়ামীলীগের মতবিনিময় সভায় তিনি এ মন্তব্য করেন।
সভায় জেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি শাহাবুদ্দিন আহমেদ মোল্লা আরো বলেন, করোনার সংক্রমণ ঠেকানোর জন্য সরকার দূরপাল্লার পরিবহন বন্ধ রেখেছে। কারণ দূরপাল্লার পরিবহন চলাচল করলে ঈদে তিন কোটি লোক শহর ছেড়ে গ্রামে যাবে। আবার তিন কোটি লোক গ্রাম থেকে ঢাকার শহরে আসবে। ফলে করোনা আরও বৃদ্ধি পাবে। শেখ হাসিনা সরকারের এই সিদ্ধান্ত শাজাহান খান না মেনে ঈদের দিন শ্রমিক ও মালিকদের নিয়ে বাস টার্মিনালে অবস্থান ধর্মঘট করেন। তিনি একজন এমপি, আওয়ামী লীগের সভাপতি মন্ডলীর সদস্য হয়েও সরকারের বিরুদ্ধে তার অবস্থান নিয়েছেন। এটা কিন্তু ভাল না। তার সরকারের সিদ্ধান্ত মেনে চলা উচিত ছিল।’
শাজাহান খানের দাপট শেষ হয়ে আসছে জানিয়ে আওয়ামী লীগের এই নেতা আরও বলেন, ‘শাজাহান খানের পড়ে যাওয়ার সময় এসেছে। তিনি একদিকে শ্রমিক নেতা, বাংলাদেশ সড়ক পরিবহন শ্রমিক ফেডারেশনের সভাপতি। আবার নিজেই মালিক। কাগজে কলমে তিনি শ্রমিক নেতা। আসল সত্য হলো তিনি কিন্তু শ্রমিক নয়। তার নিজের পরিচালিত সার্বিক পরিবহন। এক থেকে দেড়শ গাড়ি আছে। তিনি মালিক। তার লজ্জা থাকা উচিৎ। তিনি তো শ্রমিক নয়। শ্রমিক না হয়ে শ্রমিকদের প্রতিনিধিত্ব করেন।’
মাদারীপুর জেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি শাহাবুদ্দিন আহমেদ মোল্লা বলেন, ‘আজ শাজাহান খান নিজেকে যত বড়ই নেতা মনে করুক। আওয়ামী লীগ তার সঙ্গে নেই। নৌকার তার সঙ্গে নাই। আমরা রাজ্জাক, কামাল হোসেন, কাদের সিদ্দিকী, লতীফ সিদ্দিকীকে দেখেছি। তাদের প্রতি শেখ হাসিনার আর্শিবাদ নেই, তাই তারা আজ রাস্তায় রাস্তায় ঘোরে।’
আওয়ামী লীগের ইতিহাস নিয়ে শাহাবুদ্দিন মোল্লা বলেন, শাজাহান খান কথায় কথায় তার পরিবারের দুইশ বছরের ইতিহাস বলে। আমরা জানি আসল ঘটনা কী। মাদারীপুর সদর ও রাজৈরে আওয়ামী লীগ যারা করেছেন, যারা আওয়ামী লীগ প্রতিষ্ঠা করেছেন শাজাহান খান তাদের নামে কিছুই করেন নাই। সবই তিনি তার বাবার নামে নামকরণ করেছে। শুধু তা্রই নয় সরকারি প্রতিষ্ঠিত কয়েকটি প্রতিষ্ঠানের নাম পরিবর্তন করেও তার বাবার নামে নামকরণ করেছেন শাজাহান খান। এ সরকার আমলে শাজাহান খান তার শশুরের নামে রাষ্ট্রীয় পুরস্কার। বাবার নামে স্বাধীনতা পুরস্কার নিয়েছেন।
এ সময় রাজৈর উপজেলা আওয়ামী লীগের ভারপ্রাপ্ত সভাপতি গোলাম মতিন তালুকদারের সভাপতিত্বে আরো বক্তব্য রাখেন রাজৈর ্উপজেলা পরিষদ চেয়ারম্যান এমএ মোতালেব মিয়া, আওয়ামীলীগের কার্যকারী কমিটির সদস্য বীর মুক্তিযোদ্ধা সেকেন্দার আলী, সদস্য বীর মুক্তিযোদ্ধা ইউসূফ আলী মিয়া, সদস্য দেলোয়ার হোসেন দিলিপ, রাজৈর আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক(ভারপ্রাপ্ত) জমিরউদ্দিন খান, সাবেক উপজেলা পরিষদ চেয়ারম্যান আলামীন মোল্যা, পাইকপাড়া আওয়ামী লীগের সভাপতি শাহাদাত হোসেন, বাজিতপুর ইউনিয়ন আওয়ামীলীগের সেক্রেটারি ও চেয়ারম্যান মোঃ সিরাজুল ইসলাম, বদরপাশা ইউনিয়ন চেয়ারম্যান সাবিনা ইয়াসমীন মীরু, হোসেনপুর ইউনিয়ন চেয়ারম্যান হাবিবুর রহমান, হরিদাসদী -মহেন্দ্রদী ইউনিয়ন চেয়ারম্যান রেজাউল করিম, , হরিদাসদী -মহেন্দ্রদী ইউনিয়ন আওয়ামীলীগের সভাপতি গাজীউর রহমান মুন্সী, রাজৈর ইউনিয়নের সাবেক চেয়ারম্যান আবু বকর সিদ্দিক, সাবেক চেয়ারম্যান দিনেশ বিশ্বাস, কদমবাড়ী ইউনিয়ন আওয়ামীলীগের সেক্রেটারি চিত্ত বর, যুগ্ম সাধারন সম্পাদক সত্য গাইন, মেম্বর তরুন গাইন, কবিরাজপুর ইউনিয়ন আওয়ামীলীগের সাধারন সম্পাদক কামরুজ্জামান চান মিয়া, আওয়ামী নেতা জাকির খান, বীর মুক্তিযোদ্ধা কুমুদ রঞ্জন বৈদ্য, বীর মুক্তিযোদ্ধা আজিজুল হক মুন্সী, ইশিবপুর ইউনিয়নে আওয়ামীলীগের সভাপতি ও সাবেক চেয়ারম্যান মোঃ মোশারেফ হোসেন, রাজৈর ্উপজেলা মুক্তিযোদ্ধা কমান্ডের সাবেক সহকারি কমান্ডার সেখ আক্কাস আলী, রাজৈর পৌর আওয়ামীলীগের যুগ্ম আহবায়ক গোপা শারমীন ও মতিউর রহমান লস্কর।
এছাড়াও উপস্থিত ছিলেন জেলা আওয়মীলীগের সদস্য শ্যামল কুমার দে ভাইস চেয়ারম্যান শেখ ফজলূল হক বাবুল, ্প্পজেলা আওয়ারর সম্পাদক আবদূল কুদ্দুস মিয়া, যুবলীগের সাবেক সাধারন সম্পাদক খোন্দকার আবদুস সালাম, সেচ্ছাসেবকলীগের সাবেক সাংগঠনিক সম্পাদক হাবিবুর রহমান মোল্যা, মাদারীপুর জেলা যুবলীগের সহসভাপতি সেলিম মোল্যা জেলা যুবলীগের উপ-দপ্তর সম্পাদক কাজী আনোয়ার হোসেন ও রাজৈর উপজেলা প্রাথমিক শিক্ষক সমিতির সভাপতি আবদুস সবুর মিয়াসহ উপজেলা ও ইউনিয়ন পর্যায় আওয়ামী লীগের নেতাকর্মী বৃন্দ।
Leave a Reply